IQNA

কুরআনের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের শর্ত

14:06 - February 22, 2018
2
সংবাদ: 2605104
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, বলুন: সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। (ইসরা- ৮১); ইমাম বাকের (আ.) উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেছেন: যখন ইমাম মাহদী (আ.) আবির্ভূত হবেন তখন সকল বাতিল শাসন ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যাবে। (রওযাতুল কাফি, পৃষ্ঠা ২৮৭)



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মূসা কাযিম বলেছেন, ইমাম মাহদী (আ.)’এর আবির্ভাবের পরে কিয়ামের সময় সকল দ্বীনের উপরে প্রাধান্যতা অর্জন করবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ

আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন। (আছ- ছফ -৮)

ইমাম মাহদী (আ.)’এর বেলায়াত পৃথিবীর সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হবে। (আল মোহাজ্জা, পৃষ্ঠা ৩৮১, উসুলে কাফি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪৩২)

পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে: وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ

পৃথিবীতে যাদেরকে দুর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার এবং তাদেরকে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করার। (সূরা কাসাস, আয়াত নং, ৫)

ইমাম বাকের ও সাদিক (আ.) উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেছেন: উক্ত আয়াতটি বিশেষত ইমাম মাহদী (আ.)কে কেন্দ্র করেই নাযিল হয়েছে কেননা তাঁর মাধ্যমেই স্বৈরাচারী এবং ফেরাউনের ন্যায় দাবীকারী খোদাদের পতন ঘটবে এবং তিনিই হবেন পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সারা বিশ্বের শাসক তিনি পৃথিবী থেকে জুলুম অত্যাচারকে দূরীভূত করবেন এবং পৃথিবীকে ন্যায় দ্বারা পূর্ণ করে দিবেন। (তাফসীরে বোরহান, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২২০, হাদিস নং ১২)

ইমাম সাদিক (আ.) সূরা আসর সম্পর্কে বলেছেন:

(وَالْعَصْرِ) দ্বারা ইমাম মাহদী (আ.)’এর আবির্ভাবকে বুঝানো হয়েছে। (إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ) দ্বারা আমাদের শত্রুদেরকে বুঝানো হয়েছে এবং (إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ) দ্বারা দ্বীনি ভাইদের সাথে সহমর্মিতাপূর্ণ সম্পর্ক রাখাকে বুঝানো হয়েছে। (وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ) দ্বারা অন্তর্ধানের যুগে সকলে আকায়েদ দুর্বল হয়ে পড়বে তখন সকলকে ধৈর্য এবং দৃঢ়তার সাথে থাকতে বলা হয়েছে। (আল মুহাজ্জা, পৃষ্ঠা ৪৩৬, কামাল উদ্দিন, খণ্ড ২ থেকে নেয়া হয়েছে)

প্রকাশিত: 2
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
নুর
0
0
ভন্ডামির একটা সিমা থাকা উচিত।।এখানে বলা হইছে ফিরাউন আর মুসার কথা।।আর আবাল শিয়ারা কিভাবে কুরান নিয়েও মিথ্যাচার করে।।।।।।
উত্তরসমূহ
আবির
কথাই আছে অল্প শিক্ষা ভয়ঙ্কর। যারা অল্প শিক্ষিত তাদের লেখা দেখেই বোঝা যায় যে, তাদের শিক্ষার দৌড় কতদূর এবং তারা চুপ থাকতেও পারে না। আরে ভাই আপনি তো অনেক ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন।
আপনার কথা অনুযায়ী,
"।এখানে বলা হইছে ফিরাউন আর মুসার কথা।"
পবিত্র কুরআন শুধু মুসার যুগের জন্য নয়, অথবা শুধু প্রথম হিজরির জন্য নয়। সকল যুগের জন্য নাযিল হয়েছে। আর আপনারা কুরআনকে শুধু একটি গল্পের গ্রন্থের মতো মনে করেন। তারজন্য এধরণের জঘন্য মন্তব্য করেছেন।
উসুল শাস্ত্রে "মানতুক" এবং "মাফহুম" আছে। এই দুইটা সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানেন এবং তার পর মন্তব্য করেন। এভাবে অশিক্ষিতর মতো যেখানে সেখানে নিজের উগ্র ও উদ্ভট মন্তব্য তুলে ধরবেন না।
captcha