তেহরান (ইকনা): বর্তমান ইরান পশ্চিম এশিয় অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। সমগ্র বিশ্বে ইরানের অবস্থান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোনো দেশেরই ইরানের ওপর হামলা করার দু:সাহস নেই। আজ তেহরানে জুমার খুতবায় হুজ্জাতুল ইসলাম কাজেম সিদ্দিকী ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: ইসলামি ইরানের জনপ্রিয় বিপ্লবী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি হলো বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।
তিনি বলেন, নয়া বিশ্ব পরিস্থিতিতে ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থার শেকড় গভীরে প্রোথিত। বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সকল ঝড়-ঝাপটা মোকাবেলায় প্রতিরোধ শক্তিগুলোর ভূমিকা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি এখন আমাদের অনুকূলে রয়েছে। পার্সটুডে
তিনি বলেন: "আমেরিকা বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে ট্রাম্পের শাসনকালে ইরানের বিরুদ্ধে তিনটি ফ্রন্টে ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। একটি হলো মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয়টি ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিভিন্ন দেশের সরকারকে আমাদের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছিল।
তৃতীয় ফ্রন্টটি ছিল আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তারা ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশের ক্ষেত্র সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে তারা ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। ইরানের জনগণ যাতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিকে অজুহাতে হিসেবে দাঁড় করিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।
বিশিষ্ট এই আলেম বলেন: শত্রুদের বিচিত্র ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সর্বোচ্চ নেতার বিচক্ষণ পরিকল্পনা এবং সরকার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের দৃঢ় আস্থা ও প্রত্যয়ের কারণে তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। তারা কখনোই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না বলে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন কাজেম সিদ্দিকী দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন। iqna