বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মসজিদের পেশ ইমাম হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুসা সালিমি মুসলিম সমাজে মসজিদের গুরুত্বের প্রতি ইশারা করে বলেন: হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মসজিদ থেকেই ইসলামের প্রচার ও প্রসারের কাজ শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি সেদিন মসজিদকে ভিত্তি করেই মুসলিম সমাজের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। আজও যদি আমরা রাসূলের (সা.) উক্ত আদর্শ অনুসরণ করে সামাজিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মসজিদকে নির্বাচন করতাম, তবে সমাজের এমন দূরাবস্থা থাকত না।
তিনি বলেন: মসজিদকে আজ আমরা শুধুমাত্র নামায আদায়ের স্থানে পরিণত করেছি। কিন্তু মসজিদ হচ্ছে একজন মু’মিন ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির অনুপ্রেয়ণার উৎসস্থল। আমরা যদি ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তবে দেখতে পাব যে, ইমাম খোমেনী মসজিদকে ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করেই আড়াই হাজার বছরের রাজতন্ত্রের উৎখাত ঘটিয়ে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় মসজিদ ঘিরেই যাবতীয় তাগুত ও স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন: বিবাহ বন্ধন একটি পবিত্র সম্পর্ক; আর মসজিদ থেকেই যদি এ পবিত্র সম্পর্কের বন্ধন শুরু হয়, তবে নিশ্চয়ই সে সম্পর্ক হবে সুদৃঢ় ও বরকতময়। আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) ও নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরার (আ.) বিবাহের আকদ মসজিদুন্নববীতেই সম্পন্ন হয়েছিল। কাজেই মসজিদে বিবাহের আকদ সম্পন্নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাবিস্তান